এম কামরুজ্জামান,শ্যামনগর সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ সাতক্ষীরা’র শ্যামনগর উপজেলার ঈশ্বরীপুর ইউনিয়নের গুমানতলী গ্রামের এছম আলী গাজীর ছেলে মোঃ ময়নুদান আহমদ (ময়নুদ্দীন)(৩৫) পূর্ব শত্রুতা জেদ ধরে কত পথরোধ করে মায়ের পেটে ময়নুদ্দীন বাদী হয়ে দুইজনকে আসামি করে থানায় অভিযোগে দায়ের করেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বাদীর স্ত্রী কমিউনিটি হেলথ্ কেয়ারে চাকুরী করে। পূর্ব শত্রুতার কারনে বিবাদীগন আমার সঙ্গে চরম ভাবে শত্রুতা পোষন করিয়া আসিছে। বুধবার ৪টা অক্টোবর শ্যামনগর সোনালী হইতে বাদীর স্ত্রীর চাকুরীর বেতন ভাতা ৪৯ হাজার টাকার উঠাইয়া নিজ বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলে দুপুর আনুমনিক ৩ টার দিকে বাদীর বাড়ির সামনে ইটের সোলিং রাস্তার উপর পৌঁছানো মাত্রই বিবাদীগন পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক আমার পথ গতিরোধ করিয়া অতর্কিত ভাবে শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ী ভাবে মারপিট করিয়া নীলা ফোলা জখম করে। ১নং বিবাদী আমার নাক ও চোখ বরাবর স্বজোরে ঘুষি মারিয়া মারাত্মক জখম করে। যাহার ফলে আমার চোখ মারাত্মক আকার ধারন করিয়াছে। এসময় ২নং বিবাদী আমার মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য গলায় গামছা প্যাচাইয়া উহার দুই প্রাপ্ত টান মারিয়া শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করে। তখন ১নং বিবাদী আমার বরাবর স্বজোরে লাথি মারিয়া রাস্তার উপর ফেলিয়া দেয় এবং আমার কাছে উক্ত ৪৯ হাজার টাকা জোর পূর্বক নিয়া নেয়। আমার কান্নাকাটি ও হাক ডাক-চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে আসে বিবাদীদের কবল থেকে আমাকে উদ্ধার করে। এসময় বিবাদীরা বলে যে, লোকজন আসার কারনে এবারের মত বেঁচে গেলি, পরবর্তীতে সুযোগে পাইলে খুনজখম করিয়া লাশ বানাইয়া ছাড়িবে মর্মে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি প্রদান করিয়া ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। বাদীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হইতে থাকিলে এলাকাবাসী দ্রুত ইজি বাইক যোগে শ্যামনগর হাসপাতালে ভর্তি করে। বাদী শ্যামনগর হাসপাতালে ভর্তি হইয়া চিকিৎসাধীন থাকায় অভিযোগটি আমার স্ত্রী উম্মে সালমা মুক্তির মাধ্যমে থানায় প্রেরণ করিতে বিলম্ব হইল।
এবিষয়ে শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল কালাম আজাদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Design & Developed BY- zahidit.com
Leave a Reply